মিয়ানমারের স্যাগাইং অঞ্চলের একটি গ্রামে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ৭ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। বুধবার গভীর রাতে স্যাগাইংয়ের ওই গ্রামে সশস্ত্র বাহিনী বিমান হামলা চালিয়েছে বলে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
মিয়ানমারের বিদ্রোহী সংগঠন কাথা-পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের মতে, ‘মোয়েতার গ্রামে বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বোমা হামলা করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। কয়েক কিলোমিটার দূরে স্থানীয় বিদ্রোহী সংগঠনের প্রতিরোধ বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে জান্তা সরকারের সৈন্যরা ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির মুখোমুখি হওয়ার পর এ হামলা হয়।’
বুধবার সকালে কাথা-পিপলস ডিফেন্স ফোর্স এবং অল বার্মা স্টুডেন্টস ফ্রন্টের (এবিএসডিএফ) সম্মিলিত বাহিনী কাচিন রাজ্য থেকে গ্রামের দিকে যাওয়া প্রায় ১০০ সরকারি সৈন্যের একটি দলকে আক্রমণ করে। এ সময় মোয়েতার গ্রাম থেকে তিন-পাঁচ কিলোমিটার দূরে তীব্র লড়াই শুরু হয়।’
যুদ্ধে প্রায় ২০ জন জান্তা সেনা নিহত বা আহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হওয়ার পর সরকারি সৈন্যরা কাচিন রাজ্যের রাজধানী মিটকিনার বিমান ঘাঁটি থেকে প্রতিরোধ বাহিনীকে আক্রমণ করার জন্য দু’টি যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে।
বৃহস্পতিবার কাথা-পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের এক প্রতিনিধি দ্যা ইরাবতিকে জানান, ‘জান্তা সরকারের জঙ্গি বিমান মোয়েতার গ্রামে চারটি বোমা ফেলে। এর মধ্যে একটি বোমা গ্রামের একটি অনুদান অনুষ্ঠানে যোগদানকারী একদল মানুষের ওপর পড়ে।’
বিভিন্ন ফটোতে দেখা গেছে, একটি পুড়ে যাওয়া ঘরের মধ্যে পোড়া লাশ পড়ে আছে। স্থানীয়রা বলেছেন যে বোমা হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন বাসিন্দা আহত হয়েছেন। এটা এ বিষয়ে ইঙ্গিত করে যে বেসামরিক লোকেরা ওই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলো।
কাথা-পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের ওই প্রতিনিধি বলেন, ‘যদি ওই বোমাগুলো সংঘাতময় অঞ্চলের কাছাকাছি অবস্থিত গ্রামের প্রান্তে আঘাত করত, তবে আমরা মনে করতাম যুদ্ধবিমানগুলো ঠিকভাবে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করতে পারেনি। কিন্তু বোমাগুলো আসলে সংঘাতময় অঞ্চল থেকে কয়েক মাইল দূরে অবস্থিত স্থানে আঘাত করেছিল। তাই এটা বোঝা যায় যে সরকারি সৈন্যরা ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করেছিল।’
সূত্র : দ্যা ইরাবতি












